[Mental health]
স্বচ্ছতা
[Households]
অত্যাবশক সেবায় জড়িত কর্মীরা
স্বচ্ছতা
হাত ধোওয়া : কেন এবং কিভাবে ?
কী করে হাত ধুতে হবে– সম্পূর্ণ নিয়মাবলী
স্বস্তির কথা হলো এই যে ভাইরাস কোনও প্রাণীর শরীরের বাইরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। আমাদের শুধু এটুকু নিশ্চিত করতে হবে যে বাইরের পরিবেশের ভাইরাস যেন আমাদের শরীরে ঢুকতে না পারে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের বাইরে একটা আবরণ আছে যা সাবানজলে ধ্বংস হয়ে যায়। তাই এই ভাইরাসকে এড়িয়ে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল নিয়মিত সাবান বা অন্য কোনও পরিশোধক দিয়ে হাত পরিস্কার করা| এখানে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হাত ধোওয়ার নিয়মাবলী দেওয়া হলো।
বাংলামাস্কের ব্যবহার
মাস্ক/মুখোশ: কেন, কারা, কখন ব্যবহার করবেন
এ সময়ে অনেকেই মুখে মাস্ক পরছেন আর মাস্ক নিয়ে নানা রকমের প্রশ্ন বা চিন্তাও এখন রয়েছে মানুষের মনে। সাধারণ মানুষ কোন সময় এবং কী ধরণের মাস্ক পরবেন সে সম্বন্ধে সরকারের (এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার) নির্দেশিকা সময়ে সময়ে বদলেছে। তবে সকলে মাস্ক ব্যবহার করলে যে রোগ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয় এর সপক্ষে প্রমাণ মিলছে। যদি আপনার শরীরে ভাইরাস থেকে থাকে তাহলে মাস্ক ব্যবহার করলে আপনার থেকে অন্যের মধ্যে তা ছড়ানোর সম্ভাবনা কমবে। আবার মাস্ক ব্যবহারের ফলে অন্যের থেকে আপনার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে। বাড়ির বাইরে থাকাকালীন এখন মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এখানে রইল মাস্ক সম্বন্ধে কিছু তথ্য এবং তা কীভাবে কার্যকরী।
বাংলাগ্লাভস (দস্তানা): কার, কখন এবং কেন পরা দরকার?
সাধারণত হাত পরিস্কার রাখা খুব জরুরি। যদি আপনি নিয়মিত হাত ধুয়ে রাখেন এবং হাত না ধোয়া পর্যন্ত মুখে হাত না দেন, তাহলে গ্লাভস পরার দরকার নেই। গ্লাভস পরে যদি আপনি ভাইরাস থাকতে পারে এমন জিনিসপত্রে হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করেন তাহলে গ্লাভস পরার কোনো মূল্য থাকে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মত যেসব জায়গায় ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে শুধু সেই সব জায়গায় গ্লাভস পরতে পারেন।
বাংলাবাইরে যাওয়া এবং ঘরে ফিরে আসা
বাড়ির বাইরে যাওয়া এবং বাড়ি ফেরা
কোভিড-১৯ মহামারীর দরুন লকডাউন চলাকালীন, নেহাত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে। বাইরের দুনিয়ার সংস্পর্শ/ সঙ্গে শারীরিক যোগাযোগ যথাসম্ভব কমানো অত্যন্ত জরুরি। নিজেদের বাড়ির লোকজন ছাড়া অন্যদের সঙ্গে আপনার সীমিত যোগাযোগ এর ফলে রোগনির্বাহী ভাইরাসের ছড়ানোর সম্ভাবনা কমবে, কিন্তু এটা কার্যকরি হবে তখনই, যখন আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির প্রতি আপনি মনোযোগী হবেন। যখন আপনি খাবার কিংবা ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাড়ির বাইরে বেরোবেন, তখন আপনাকে অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসতেই হবে। তাই বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে, বাড়ির বাইরে থাকাকালীন এবং বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে যাবার পর আপনাকে কী করতে হবে এবং কোন কাজটা করা ঠিক হবে না, সে সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন। বাড়ির বাইরে একান্ত বেরোতেই হলে যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, সে সম্পর্কে এখানে রইল কিছু পরামর্শ।
বাংলাসাধারণ উচিত এবং অনুচিত কাজকর্ম
[Households]
পৃষ্ঠ পরিষ্কার করা
চারপাশের জিনিসপত্রের বহির্ভাগ কীভাবে পরিস্কার করা উচিত?
যেকোনো অসুখ সংক্রমণ বাড়তে না দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা ছাড়াও চারপাশের পরিবেশের সুস্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া উচিত, এবং সেটা কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। করোনাভাইরাস বিভিন্ন জিনিসের বহির্ভাগে নানা সময় পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। এইসব জিনিসপত্র থেকে যাতে সংক্রমণ না হয় সেই ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। আপনি হয়তো ভাবছেন কোন জিনিসের বাইরের অংশ কত ঘন ঘন এবং কোন পরিষ্কারক বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করলে এই ভাইরাস নাশ করা যাবে — এখানে কিছু নির্দেশ দেওয়া রইল।
[English]ঘরে রান্না করা
খাবার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য
আপনি কি খাবারের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানো নিয়ে চিন্তিত ? বাজার ফেরত সবজির প্যাকেট নিয়ে কি করা উচিত ভাবছেন? এই মহামারীর সময় কী কী খাওয়া উচিত ও উচিত না, তার উত্তর খুঁজছেন ? আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর এইখানে রইলো!
বাংলারুগীর শুশ্রূষা
আপনার বাড়িতে কেউ অসুস্থ থাকলে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করবেন
বেশির ভাগ কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জ্বর এবং কাশি হয়, ফ্লু-এর মত। আপনার পরিবারে কারোর শরীরে যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তাহলে কোভিড-১৯-এর সম্ভাবনা থাকতে পারে। আপনাদের নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অথবা আপনাদের নিজস্ব ডাক্তারকে জানান, অথবা ০১১-২৩৯৭৮০৪৬ এই নম্বরে ফোন করুন। লক্ষণ অনুযায়ী আপনাকে বাড়িতে থাকতে, অথবা নির্দিষ্ট সরকারি/বেসরকারি হাসপাতালে অথবা পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বলা হতে পারে। স্বাস্থ্যবান মানুষ সাধারণত ৩-৫ দিনেই কোনও সাহায্য ছাড়াই সুস্থ হতে পারে। তবে শারীরিক লক্ষণ মিলিয়ে যাবার পরেও রুগীর পক্ষে ১৪ দিন বাড়িতে থাকা উচিত। এই সময়ে, রুগীর প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত যাতে ভাইরাস বাড়ির অন্যান্যদের মধ্যে এবং বাড়ির বাইরে না ছড়ায়।
বাংলাঅত্যাবশক সেবায় জড়িত কর্মীরা
মালপত্র ডেলিভারি করা
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থেকে কীভাবে জিনিসপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেবেন ?
কোভিড-১৯-এর ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার জন্য যে লকডাউন জারি করা হয়েছে, সেই সময় অত্যাবশ্যক সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া জরুরি। সেই জন্য এই সব সামগ্রী বিলি করার সংগে যুক্ত লোকজনের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অত্যাবশ্যক সামগ্রী বলতে খাবার, গ্যাস সিলিন্ডার, দুধের প্যাকেট, খবরের কাগজ, ওষুধ ইত্যাদি বোঝায়। আপনি যদি এইগুলোর মধ্যে কোনো জিনিস বিলি করার সংগে যুক্ত থাকেন, তাহলে আপনাকে অনেকের সংস্পর্শে আসতে হতে পারে, এবং অন্য অনেকের ছোঁয়া জিনিসপত্র স্পর্শ করতে হতে পারে। আপনাকে অনেক টাকার নোট এবং মুদ্রাতেও বেশ কয়েকবার হাত দিতে হতে পারে। আপনাকে সম্ভবত সহকর্মীদের নিকটে থাকতে হয় এবং যানবাহনে একসঙ্গে যেতে হয়। আপনার, আপনার পরিবারের এবং খদ্দেরদের যাতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ না হয়, তার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করুন।
বাংলাদোকানে কাজ করা
কর্মী এবং গ্রাহকের জন্য দোকান কে সুরক্ষিত রাখা
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা প্রদানকারী দোকানপাঠ, যেমন মুদিখানা ও ঔষধালয় গুলি লকডাউন এর সময়ও খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই জায়গাগুলিতে অনেক মানুষ প্রবেশ করে থাকে, তাই এগুলির রোগ ছড়ানোর অকুস্থল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। হাত ভালোভাবে ধোয়ার, জিনিসপত্র পরিষ্কার করে মোছার এবং অন্যের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার যে সাধারণ নির্দেশাবলী রয়েছে সেগুলি মেনে চলা জরুরি, সেই সঙ্গে একজন অত্যাবশ্যক পরিষেবা প্রদানকারী কর্মী হিসেবে কিছু নির্দিষ্ট উপায় আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। এই উপায়গুলি সাধারণ মানুষকে অপরিহার্য জিনিসপত্র সরবরাহ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে, আপনার সহকর্মী ও আপনার পরিবারের সদস্যদেরও সুরক্ষিত এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
বাংলা